সামসুল আলম রিপন :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের অবহেলায় নইমুদ্দিন সরকার নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে জরুরি বিভাগে হট্টগোল ও চিকিৎসককে অবরুদ্ধ রাখে নিহতের স্বজনরা।
রোববার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনে স্বজনরা। নিহত নইমুদ্দিন সরকার (৬০) শ্রীপুরের কেওয়া পূর্বথন্ড গ্রামের মৃত কেরামত ওরফে কেরু মোল্লার ছেলে। দায়িত্বরত চিকিৎসক ছিলেন, ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিজন মালাকার।
নিহতের স্বজনরা জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ হলে রিকোয়েস্ট করেও কানিহতের স্বজনরাউকে পাইনি। ডাক্তারের অবহেলার কারণেই চাচার মৃত্যু হয়েছে। নিজের ব্যর্থতা লোকাতে ইসিজির নাটক সাজান ডাক্তার । দীর্ঘ সময় পর এক বয়কে দিয়ে ইসিজি করন। পরে বলেন, রোগীর হালকা প্রাণ আছে। দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চাচা সেখানেই মারা গেছেন। আমরা তার মৃত্যু নিশ্চিত হতে মাওনা চৌরাস্তার পৃথক তিনটি হাসপাতালে নিয়েছি। সেখানের চিকিৎসকগণ জানান প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও (ভারপ্রাপ্ত) আরএমও ডা. বিজন মালাকার দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ওই রোগীকে অসুস্থ অবস্থায় রাত পৌনে ১০টার দিকে আনা হয়। কাশির ঔষধে অন্য কিছু মিশিয়ে মাত্রারিক্ত খেয়েছিল। তার বুকে জ্বালা হচ্ছিল। তাকে গ্যাাস্টিক ইনজেকশনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে রোগীর লোকজন তাকে বাহিরে কোথায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে এসে ডাক চিৎকার শুরু করে। তার অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, ওই রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আমরা প্রশাসনের সহায়তা নিয়েছি। দায়িত্ব অবহেলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, চিকিৎসক অবরুদ্ধ রাখার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে জরুরি বিভাগে নিহতের স্বজনরা জড়ো হয়েছিল। সকলের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।