সীমা আক্তার :
কালাভার্ট নির্মাণে নিম্ন মানের পণ্য সামগ্রী দিয়ে কাজের নামে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করার অভিযোগ উঠেছে মনোহরদী উপজেলার এলজিইডির ঠিকাদার তারেক রহমানের বিরূদ্ধে। অনিয়মের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি পদে ঠিকাদার।এলজিইডি কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করার পরও নিয়মের তোয়াক্কা করছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা মাধুশাল সরকার বাড়ির খালের উপর বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলমন। নিম্ন মানের পণ্য সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্হানীয়রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাধুশাল গ্রামের পাশ দিয়ে সরকার বাড়ির মাঠ থেকে খালটি প্রবেশ করে মাধুশাল পশ্চিম পাড়ার মাঠে গিয়ে মিশেছে। যা এই মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি খাল। মনোহরদী এলজিইডি প্রকল্পের আওতাধীন প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টি নির্মাণ করেছেন তারেক রহমান।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে কাজটির প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে তবে সেখানে চোখ মেললেই দেখা যায়, বেজ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নামমাত্র রডের। এর মধ্যে কোনটি ভালো কোনটি খারাপ তার হদিস মেলেনি।এর মধ্যে কোনরকম সিলেকশন বালির কোন মিশ্রণ ছিল না। এমনকি ছিল না কোন পাথরের ব্যবহার। বেজ ঢালাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছিল দুর্বল ও মরা ইটের কণা। তাছাড়া বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণে রয়েছে নানা ত্রুটি। হাত দিলেই উঠে আসছে গাথুনির নিম্নমানের চিকন বালু। আর ইটের দিকে তাকালে চোখ কপালে উঠে যায়। মরা ইট যেন হাতের স্পর্শেই ভেঙে যাচ্ছে।
স্হানীয়রা জানান,কালভার্ট নির্মাণের নামে কাজের নানা অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করার অপচেষ্টা করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিক তারেক। ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী দিয়ে নতুন কালভার্টটি নির্মাণ করছে। বিষয়টি তাকে বললেও কোন তোয়াক্কা করেন না।নতুন কালভার্ট যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা না যায় তাহলে আগের মত থাকাই ভালো।নির্মাণের কিছু দিন পর কালভার্টটি ক্ষয়ক্ষতি হলে আমাদের আরো ভোগান্তি বাড়বে।সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি জানানোর পর তারা এসে দেখে গেছে কিন্তু নামমাত্র ব্যবস্হা নিলেও পরদিন থেকে আবারোও ঐ নিম্নমানের পণ্য সামগ্রী দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছ তারেক।
নিম্নমানের পণ্যদিয়ে কালভার্ট নির্মাণ কাজের শ্রমিকরা বলেন,এরা এমন ইট দিয়েছে কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার তারেক প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন,আপনারাআমার কাজের কাছে আসার অনুমতি কে দিল এই বলে হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। এলজিইডি সিডিউলে যা আছে তা দিয়েই সে কাজ করবে। গণমাধ্যম কর্মী সিডিউল দেখাতে বললে তিনি বলেন মনোহরদী উপজেলার এলজিইডি অফিসে গিয়ে দেখে আয় আমি পারবো না।
এ নিয়ে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শামীম ইকবাল মন্না বলেন, অভিযুক্ত কালভার্টটি সরাসরি পরিদর্শন করা হবে এবং এমন নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্যসম্পাদন হতে আমি কোনভাবেই দিব না।
তবে তা ছিল কেবলই মাত্র স্বান্তনা। পরদিন অভিযুক্ত নির্মাণাধীন কালভার্টটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা এলজিইডির উপজেলা এলজিইডি সদস্যরা। তবে কোনো রকম পদক্ষেপ নেননি, সেই সকল নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী দিয়েই কাজ এখনো চলমান রয়েছে। এতে এলাকাবাসীর চাপা ক্ষোভ যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে।