স্টাফ রিপোর্টার :
মোসাঃ ফাতেমা আক্তার আখির অভিযোগ চার বছর পূর্বে আমার সাথে মোঃ শাহিন সরকার (৫০), পিতাঃ একেএম ইসহাক সরকার, মাতাঃ আফিয়া খাতুন, স্থায়ী ঠিকানাঃ সরকার বাড়ী, গ্রাম/রাস্তাঃ সুজাতপুর, ডাকঘরঃ ৩৬৪০, মতরব উত্তর, চাঁদপুর এর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমি জানতে পারি তাহার বউ ও তিনটি সন্তান আছে, সে আমাকে প্রায় সময় মারধর করতো, সে আমার সাথে সংসার করিবে বলে জানায়। আমি তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি যাহার নং-৭২৪ তারিখ : ১২/০১/২০২০ এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগি ফাতেমা আক্তার আখির দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের এক ভিডিও সাক্ষাতকারে কথা হলে তিনি বিস্তারিত জানান, আমার স্বামী একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক একজন কর্মকর্তা, পদবী-অফিস সহায়ক।
আমি আমার গ্রামের বাড়িতে থাকতাম। প্রায় ৪ বছর আগে একদিন আমার এক আত্মীয় অসুস্থ থাকার কারনে কুর্মিটোলা হাসপাতালে দেখতে যাই। তখন বিবাদী শাহিন সরকার এর সাথে আমার পরিচয় হয়। সে আমার ফোন নাম্বার নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে সে আমার ফোনে কল দিয়ে আমার খোজ খবর নিতো ফলে তার সাথে আমার একটি বন্ধুত্বর সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হই এবং তাকে আমি বলি আপনার বয়স ও আমার বয়সের মধ্যে ২৫ বছরের ব্যবধান আমার মনে হয় আপনি বিবাহিত তখন সে বলে যে আমি বিয়ে করেছিলাম কিন্তু যখন আমি মিশনে গিয়েছিলাম তখন আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে যায় এবং সে আরও বলে যে তার সাভারে বাড়িঘর আছে এবং অনেক টাকা পয়সার প্রয়োভন দেখিয়েছে। আমি ছোট থাকতে আমার বাবা মারা যায়। তাই তার প্রলোভোনে আমি তার কথা মত বিয়েতে রাজি হই। আমার ফ্যামিলিকে না জানিয়ে আমি বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসি। সে একটা বাসায় রেখে আমার কাছ থেকে একটি স্বাক্ষর ও ও আমার জন্মনিবন্ধন নিয়ে যায়। কাবিন করার কথা বলে। পরে বলে আমাদের কাবিন হয়ে গেছে। এখন আমরা স্বামী, স্ত্রী। তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করি। তখন আমরা একসাথে থাকা শুরু করি। শাহিন সপ্তাহে দুই একদিন আমার বাসায় আসতো না, নাআসার কারন জিজ্ঞাসা করিলে বলতো আমার সিনিয়র আরিফ স্যার আমাকে রাজেন্দ্রপুর নিয়ে যায়। বিবাহের কিছুদিন পর বলে যে তার সাভারে বাড়িটা ৪ তলা কমপ্লিট করতে হবে, ফলে সে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা বাড়ি থেকে আনতে বলে আমি পরে টাকা ফেরত দিয়ে দিব। তারপর আমি বাড়ি থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আসি । এভাবে প্রায় তার সাথে আমার সাড়ে তিন বছর সংসার করি। আনুমানিক ০৫/১০/২০১৫ইং তারিখে আমি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই তার ১০-১২ দিন পর শাহিনের পেটে একটি সার্জারি হয়। সার্জারির পরে আমি বিবাদীর অসুস্থতার খবর শুনে তার সাথে দেখা করিতে চাইলে সে আমাকে জানায় ক্যান্টমেন্ট হাসপাতালে মহিলা ডুকতে দেয় না এবং শাহিন বলে আমি একটু সুস্থ হলে তোমার সাথে দেখা করবো এবং তোমাকে ঢাকায় নিয়ে আসবো। শাহিন আমার সাথে দেখা করা জন্য অনুমানিক ০২/১১/২০১৪ইং তারিখে আমার নিজ গ্রামের বাড়ি সে অসুস্থতা অবস্থায় যায় এবং যাওয়ার পর থেকে আমি দেখি বিবাদী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আমার আড়ালে গিয়ে কথা বলে। বিবাদী আমার নিজ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে নিয়ে সে ঢাকার বাসায় আসবে। কিন্তু বিবাদী হঠাৎ করে আমাকে নিয়ে আসতে অসংকোজ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সে আমাকে রেখে ঢাকা ফিরার চেষ্টা করে। বিবাদী আমার মা-ভাইকে বুজাইয় তার খুব গুরোত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাকে অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তাকে কল দিচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য। বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝায় যে বিবাদী আমাকে কয়এক দিন পরে আমার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নিয়ে আসবে এটা বলে সে ঢাকা চলে আসে। পরবর্তীতে শাহিন জানায় সে অফিসে না জানিয়ে ক্যান্টেনমেন্টের বাইরে যাওয়ার কারণে তাহাকে অফিস হইতে বরখাস্থত করা হইয়াছে। তাই আমি শাহিনের কথা শুনে খুব দ্রুত্ব ঢাকায় আসি এবং বিবাদী আমার বাসায় রাতে না আসায় আমি শাহিনকে জিজ্ঞাসা করিলে শাহিন আমাকে জানায় সে পূর্বে আরেকটি বিবাহ করিয়াছে এবং তোমাকে নিয়ে পূর্বের স্ত্রী ঝামেলা করিতেছে। তুমি একটু ধর্য্য ধর আমি আমার পূর্বের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিবো। তার পূর্বের স্ত্রী যখন আমার কথা জানিতে পারে তখন শাহিন তাকে বলে আমাকে সে বিবাহ করে নাই আমি শাহিনের সাথে যোগাযোগ করিতে চাইলে তার স্ত্রী আমাকে কল দিয়ে বলে যে আমাকে নাকি শাহিন বিবাহ করে নাই তুই কেন শাহিনকি ডিস্টার্ব কর। পরবর্তীতে তাকে আমার বাসায় আসতে বললে আসে না এবং ঠিকমতো যোগাযোগ ও করতো না। তাই আমি শাহিনকে বলি আমার সাথে নাকি তোমার বিবাহ হয় নাই এটা তোমার পূর্বের স্ত্রী আমাকে ফোনের মাধ্যমে জানায় তখন আমি তাকে বলি আমাদের বিয়ের কাবিনের কপি নিয়ে আমার বাসায় আসবা। শাহিন তখন বলে যে তখন নাকি সে কাবিন করে নাই আমাকে মিথ্যা কথা বলেছে। আমার জীবন নষ্ট করায় আমি শাহিনের সব অপকর্ম তাহার অফিসে লিখিত ভাবে অভিযোগ করিবো বলিলে শাহিন আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে।
সেনাবাহির লোক, তার কিছু করিতে পারিবো না এখন আমাদের হাতে ক্ষমতা এবং উল্টো আমার ক্ষতি হবে এবং আমাকে মানসিক অত্যাচার করে এবং আমাকে বলে বিবাদীকে ছেড়ে চলে যাই না হলে বিবাদী আমাকে জানে মেরে ফেলবে)। পরবর্তীতে আমি বিবাদীকে আমাকে মারধোর করার কারণে আমি তাকে বলি ধর্ষনের মামলা দিবো সে ভয়ে আমাকে গত ২৫/১২/২০২৪ইং তারিখে ৪০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকা দেন মোহন ধার্য করিয়া কাবিননামা সম্পূর্ন করে এবং একদিন পর বলে এখন তো আর ধর্ষন মামলা দিতে পারবি না। এখন আবার বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে। তখন আমি বলি পূর্বের ৩ লক্ষ টাকা আমাকে ফেরত দাও নাই। আমি তোমাকে আর কোন টাকা দিতে পারব না। তখন সে আমার সাথে কোন প্রকার যোগযোগ রাখে না এবং আমার কোন ভরণপোষ দেয় না তাই আমি শাহিনের সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করিলে সে আমার বাসায় আসে এবং আমাকে ইচ্ছা মতো মরধোর করে এবং আমাকে বাড়িতে যাইতে বলে। আমি বাড়িতে যাইতে অনিশ্চা প্রকার করিলে সে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি ০৪/০১/২০১৫ইং তারিখে বিবাদীর অফিসে যোগাযোগ করিতে গেলে অফিসের শাকের স্যারে কাছে জানাইলে স্যার আমাকে বলে বিবাদী ০৫/০১/২০২৫ইং তারিখে আমার বাসায় আসবে কিন্তু সে স্যারের কথা মানেনা এবং আমার বাসায় আসে না। অদ্য ০৫/০১/২০১৫ইং তারিখে সকাল ৮.০০ ঘঠিকার সময় শাহিন অন্য ব্যক্তির দ্বারা কল দিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়বৃত্তি প্রদান করে এবং আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করা জন্য বাইরে কোথাও দেখা করতে বলে। আমি তাহাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে আমি অফিসে জানাইয়াছি এ বিষয় অফিসে সমাধান করবো।