লোকমান হোসেন :
মোঃ ওসমান গনি আকন থানায় একটি চুরির অভিযোগ দেয়, তার সাথে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের কথা হলে তিনি জানান, দক্ষিন পূর্ব ভান্ডারিয়া সাকিনস্থ জনৈক ফারুকুজ্জামান এর বাড়ী (২য় তলা দালানের দ্বিতীয় তলা), থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর। আমি অনেক দিন যাবৎ মজিদা বেগম মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছি। বিগত অনেক দিন যাবৎ দক্ষিন পূর্ব ভান্ডারিয়া সাকিনস্থ জনৈক ফারুকুজ্জামান এর বাড়ীর ২য় তলা দালানের দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়া স্ত্রী সন্তান সহ বসবাস করি। ঘটনার দিন ইংরেজী ০৩/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার কর্মস্থল মজিদা বেগম মহিলা কলেজে যাই। আমার স্ত্রী ফজিলা আক্তার আমাদের ভাড়া থাকা বাসার রুমে তালা দিয়া আটকাইয়া ভান্ডারিয়া বাজারস্থ সৌদিয়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসায় অবস্থানরত আমার দুই ছেলে আব্দুল্লাহ নাহিন ও আবরার নাফিজকে টিফিন দেওয়ার জন্য যায়। এরপর একই দিন বেলা অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী বাসায় আসিয়া বাসার সামনের রুমের তালার হেজভোল্ট ভাংগা দেখে। এরপর রুমের মধ্যে প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন কাপড় চোপড় ছড়ানো ছিটানো সহ স্টিলের ওয়ার ড্রব এর তালা ভাংগা এবং ওয়ার ড্রবের মধ্যে রক্ষিত নগদ ৮০০০/- (আট হাজার) টাকা এবং স্বর্নের চেইন ০৩টি, আংটি ০৩টি রুপি ০১টি, হাতের ব্রেসলেট ০১টি, কানের বালা ০২ জোড়া নাকফুল ০২টি লকেট ০২টি, টিপ ০১টি মোট সোনার পরিমান অনুমান ০৫ ভরি ০৮ আট আন যাহার বাজার অনুমান মূল্য ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজর) টাকা উহা না দেখিয়া চুরি হইয়াছে বুঝিতে পারে এবং আমাকে মোবাইলে উক্ত ঘটনা জানায়। আমি সংবাদ পাইয়া বাসায় আসিয়া উল্লেখিত চুরির বিষয়ে নিশ্চিত হই। আমার সন্দেহ হয় আমার একই মালিকের অন্য বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকা মোঃ ইব্রাহীম বাবলা (৩২) পিতা-অজ্ঞাত সে আমাদের অনুপস্থিতে ০৩/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ০৯.০০ ঘটিকা হইতে বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় উক্ত টাকা এবং স্বর্ণালংকার চুরি করিয়া নিয়া যায়। বর্তমানে উল্লেখিত মোঃ ইব্রাহীম বাবলা আত্মগোপন করিয়া আছে। এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমরা একটি চুরির অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এবং আশে পাশের সকল সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখে অপরাধিকে চিহ্নিত করবো।