ঢাকাসোমবার , ১১ নভেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বগুড়ার মোকামতলার ভয়ংকর নারী তাছলিমার প্রাণনাশের হুমকিতে তটস্থ নিরীহ হারুন অর রশিদ মিঠু ও পরিবার পরিজন

কফিল উদ্দিন :
নভেম্বর ১১, ২০২৪ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ । ১৭২ জন
Link Copied!

(তাছলিমার বক্তব্য আমি যা খুশি তাই করবো, কেউ আমার কিছু করতে পারবে না, পুলিশ বলেন বা অন্য কেউ, কেউ পাগল আমার রূপে, কেউ আমার টাকায়, আমার সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করলে নারী নির্যাতন মামলা দিয়া চৌদ্দ শিকের ভাত খাওয়াবো)

স্টাফ রিপোর্টার :

বগুড়ায় একাধিক নারী প্রতারক চক্র ছদ্দবেশে সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সিন্ডিকেটের রয়েছে বিশ্বস্ত সোর্স, এদের মধ্যে অন্যতম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা মোকামতলার সুন্দরী তাছলিমা। তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারক চক্র পরিচালনার অভিযোগ আছে। এদের কাজ ব্ল্যাকমেইলিং করা, বিভিন্ন পুরুষের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলে কৌশলে নিজের তৈরি করা ফাঁদে এনে যৌন সম্পর্কের নামে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয় অর্থ।

যুগে যুুগে নারীদের ছলনায় অনেক জাতি এবং দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা মোকামতলার তাছলিমা ঘসিটি বেগমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে একটি সাজানো পরিবারকে কালনাগিনীর মত ছোবল দিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একজন সেনা সদস্যের সাথে (সোহেল রানা) পরকীয়ার বিষয়টি এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে রটে গেলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের বিয়ের সূত্রটি কারো জানা নেই। উক্ত সেনা সদস্য মোঃ সোহেল রানা বিবাহিত এবং একজন পুত্র সন্তানের জনক বলে জানা যায়। তার স্ত্রীও একজন সেনা সদস্য, বর্তমানে ইউএন মিশনে থাকার সুযোগে সোহেল রানা পরকীয়ায় জড়িয়ে তাছলিমার সাথে তার খালাতো বোনের সম্পর্কের পরিচয়ে পরকীয়াসহ তাছলিমার বিভিন্ন অপরাধকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে তার সেনাবাহিনীর পরিচয়ের শক্তিটি অবৈধভাবে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব বিষয় নিয়ে ইতি মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তাছলিমার পালিত গুন্ডা বাহিনী হারুন অর রশিদ মিঠু সহ তার পরিবার পরিজনকে দফায় দফায় বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তাছলিমা সংবাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করার চেষ্টা করলে সর্বস্তরের সাংবাদিকরা প্রত্যাখ্যান করে বলে জানা যায়।

জানা যায় অল্প কিছুদিন পূর্বে তাছলিমার স্বামী মারা যায়। এ বিষয়ে তার বাড়ির আশে-পাশের বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, তাছলিমা সুন্দরী হওয়ার কারণে বিয়ের প্রথম থেকেই সে ছিল বেপরোয়া, এসব বিষয় নিয়ে তার স্বামী সবসময় ডিপ্রেশনে ভুক্ত, এসব কারণেই অল্প বয়সে তার মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর পরে শশুর বাড়ির সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে ফারুক সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী প্রকৃতির উশৃংখল মানুষের সাথে আতাত করে শশুর বাড়ির সম্পত্তি অবৈধভাবে ভেঙ্গে দিয়ে নিজের অবৈধ রাজত্ব কায়েম করতে গিয়ে নিজের শক্তি বৃদ্ধির ছলনায় একজন সেনা সদস্যকে নিজের মায়াজালে জড়িয়ে তার ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে আসছে তাছলিমা। সরেজমিনে তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। লোক মুখে শোনা যায়, তাছলিমার স্বামী ড্রাগ এডিক্টেড হওয়ার কারণে, ধীরে ধীরে স্লো পয়োজনে তাকে হত্যা করে তাছলিমা। বিয়ের আগেও তাছলিমার ছিল একাধিক প্রেমিক। স্বামীর মৃত্যুর পর ঐ সব প্রেমিকদের সাথে তাছলিমার সম্পর্ক পূণঃস্থাপন হয়। আশে-পাশের কোন প্রতিবেশি তাছলিমাকে পছন্দ করে না। তাছলিমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ লাশ ময়না তদন্ত করতে চাইলে তাছলিমা আক্তার তার শশুর বাড়ির লোকজনকে বাঁধাগ্রস্থ করে দ্রুত কাফন-দাফন করলে মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাছলিমার সাথে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গভীর সম্পর্ক। এলাকার চিহ্নিত একাধিক মাদক মামলার আসামীদের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ রিমন, পিতা-মোঃ আব্দুল আজিজ, গ্রাম লক্ষ্মীপুর মোকামতলা, থানা-শিবগঞ্জ (ভাড়াটিয়া গুন্ডা এবং মাদকসেবী), ২। মোঃ আব্দুল আজিজ মন্ডল চেন্টু (মাদক মামলার আসামী, সেবনকারী ও ব্যবসায়ী), ৩। মোঃ শহিদুজ্জামান সুমন, (ছিন্তাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী সাইবার অপরাধী এবং ভাড়াটিয়া গুন্ডা), গ্রাম-নাংলু গাবতলী, এসব লোকের নামে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় রয়েছে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা, গত আওয়ামী লীগের শাষণামলে এবং ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরাসরি ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।

মোঃ হারুন অর রশিদ মিঠু, মোঃ আব্দুল হামিদ সোহেল এবং মোঃ আহসান হাবিব জুয়েল তারা পরস্পর আপন ভাই এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নিরীহ প্রকৃতির লোক। তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে নামজারি ও সরকারের যথাযথ নিয়মে দলিল দস্তাবেজ করিয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছিল। কিন্তু তাছলিমা গংয়ের গুন্ডারা যথাক্রমে মোঃ ফারুক হোসেন, মোঃ আব্দুল হালিম, মোঃ আব্দুল খালেক, মোঃ ছাইফুল ইসলাম, মোঃ রিমন মিয়া ও মোছাঃ তাছলিমা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শনকারী এবং জোর জবর দখলকারী শান্তি ভঙ্গকারী ব্যক্তিবর্গ। তাছলিমা গংয়েরা নিরীহ হারুন অর রশিদের উপর জোর জবরদস্তি করে এবং প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে হারুন অর রশিদের দখলকৃত ও আইনগত সম্পত্তি থেকে বেদখল করে নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাছলিমা গংয়ের অত্যাচারে ও গায়ের জোরে বেদখল হয়ে নিরীহ হারুন অর রশিদ কোর্টের শরণাপন্ন হয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর দুইটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। যথাক্রমে মোকদ্দমা নং-৬০৯পি/২৪ এবং ৮৩৫পি/২৪। উল্লেখিত মামলাগুলোর পূর্বে ভুক্তভোগিরা মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ি এবং শিবগঞ্জ থানায় তাছলিমাসহ সংবাদে উল্লেখিত সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাধারণ কয়েকটি ডায়েরীসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে থানা এবং ফাঁড়িতে যোগাযোগ করলে তারা জানায় এসকল মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। মোকদ্দমায় নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় হারুন অর রশিদ মিঠু তার দখলীয় সম্পত্তিতে কোন্ আইনবলে ভোগদখল করিতেছেন তা সবিস্তারে ও তথ্য প্রমাণসহ বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু অপরদিকে তাছলিমা গং কোন্ আইনবলে হারুন অর রশিদ মিঠুর সম্পত্তি জবরদখল করিয়াছেন তার কোনো তথ্য প্রমাণ না দেখিয়ে গায়ের জোরে ও গুন্ডামীর মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে তাছলিমা গং। মাননীয় বিজ্ঞ আদালত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের মাধ্যমে নিরীহ ও তটস্থ হারুন অর রশিদ আইনি সহায়তা কামনা করছে। তাছলিমা গং যাতে সম্পত্তি দখলের লালসায় হারুন অর রশিদ মিঠুর এবং ভাইদের প্রাণনাশ করিতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের তাৎক্ষণিক ও নিরাপত্তা প্রদানের জন্য হারুন অর রশিদ মিঠুর পরিবার আকুল আবেদন জানায় এবং তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন তিনি যদি আমাদের নির্যাতিত পরিবারটির দিকে তাকায় তাহলে আমরা ন্যায্য বিচার পাব এবং তাছলিমা গংয়ের উপযুক্ত শাস্তির মাধ্যমে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।

এবিষয় নিয়ে তাছলিমার সাথে যোগাযোগ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়, এবং বলে আমার সংসার কি তোরা চালাবী। আমি যা খুশি তাই করবো, কেউ আমার কিছু করতে পারবে না, পুলিশ বলেন বা অন্য কেউ, কেউ পাগল আমার রূপে, কেউ আমার টাকায়, আমার সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করলে নারী নির্যাতন মামলা দিয়া চৌদ্দ শিকের ভাত খাওয়াবো।

You cannot copy content of this page