নাজমুল হাসান-সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আরএমও এবং হার্ট ফাউন্ডেশনের মালিক ডাঃ ফয়সাল আহমেদ এর বিরুদ্ধে রোগী ও তার স্বজনদের হেনস্থা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার আগের রাতে তার কাছে সিরিয়াল দিয়ে চিকিৎসা নিতে এসে নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে রোগী ও তার আত্মীয় স্বজন। তেমনই এক ঘটনায় সাতক্ষীরায় তোলপাড় শুরু হয় গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে। ঘটনা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে পুরাতন সাতক্ষীরা আলীয়া মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বাচ্চু নিজের হার্টের সমস্যার কারনে সোমবার রাতে সিরিয়াল লেখান ডাঃ ফয়সাল আহমেদ এর নিজস্ব (গভমেন্ট স্কুলের পাশে) বাড়ীর চেম্বারে। রিতিমত মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় বাচ্চু নামের ঐ ভিকটিম তার ছেলে-মেয়ে ও বোনসহ তার চেম্বারে যায় চিকিৎসা নিতে। কিন্তু সেখানে যেয়ে দেখে কোন সিরিয়াল মানা হচ্ছেনা। সিরিয়াল ছাড়া একেরপর এক রোগী ঢুকছে ডাক্তারের চেম্বারে। এভাবে ৩০/৪০ মিনিট অতিবাহিত হলে রোগী আব্দুস সালাম বাচ্চু (৫৫) এই ডাক্তার দেখাবেনা বলে অসন্তষ্ট হয়ে বাইরে চলে আসে। তখন তার ছেলে ঐ চেম্বারে এমন অনিয়ম কেন হলো জানতে চাইলে ডাঃ ফয়সাল নিজেই বাচ্চুর ছেলে মাছুম বিল্লাহ মোঃ কাইয়ুম (অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র)কে জামার কলার ধরে হেনস্থা করে বলে বাচ্চু অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক মহলে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে সাতক্ষীরা শহরে। সাধারণ জনগণসহ সচেতন মহল বলছে একজন ফাস্টক্লাস নাগরিক ও একজন সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার হয়ে কিভাবে রোগী ও তার আত্মীয় স্বজনদের গায়ে হাত দিতে পারে। তারা আরও বলেন আমরা শুনেছি তিনি এর কিছুদিন আগেও কলারোয়া হতে আসা বিউটি ও তার মাকে জুতা দিয়ে মারপিটসহ হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে এছাড়া মোজাহিদ নামে যশোর বার্তার একজন সাংবাদিক ঘটনা রিপোর্ট আনতে গেলে তাকেও এভাবে হেনস্থা ও সম্মান হানি করেছেন এবং সেনাবাহিনীর কাছে উল্টো কমপ্লেন দিয়ে তাকে আটক করান এই ডাঃ সালমান । তার বিষয়ে আরও অভিযোগ শোনাযাচ্ছে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হয়েও সদর হাসপাতালের বিপরিতে একশ গজ দুরে ক্লিনিক গড়ে তুলে দেদারছে জনগণকে চুষে খাচ্ছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে তিনি নাকি তার প্রাইভেট ক্লিনিকেই বেশিরভাগ সময় দেয় এবং ভাবেন। কেউ কেউ বলছেন প্রাইভেট ক্লিনিক যদি করতে হয় তবে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে করুক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এমবিবিএস ডাঃ জানান তারমত একজন ডাক্তারের কাছে এরকম নেতিবাচক আচরণ কেউ আসা করেনা। কেন উনি এরকম করেন বুঝিনা তবে টাকার জোরে করে মনে হয় এগুলো অনুচিত।
অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কিছুদিন আগে দুজন নারীকে হেনস্থার অভিযোগ পেয়ে তার কাছে জবাব চেয়েছিলাম তিনি লিখিত জবাবে উল্লেখ করেছেন যে অভিযোগকারীদের সাথে তার সমঝোতা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের আরএমও সার্বক্ষনিক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে থাকার নিয়ম আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন সদর হাসপাতালে আরএমওদের নামে বাসবভনের কোন সিষ্টেমই নেই। এবিষয়ে ডাঃ ফয়সাল আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে ঘটনার টোটাল ভিডিও আছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। তাছাড়া ঐ বিষয়টি মিটে গেছে। তারা আমার কাছে এসে মাফ চেয়ে গেছে। ওরাতো ভিডিও বক্তব্য দিছে প্রশ্নে তিনি বলেন বক্তব্য দিছিল কিন্তু সেটা বন্ধ করে দিছে। মানববন্ধন করবে বলে আমাকে জানিয়েছেন প্রশ্নে তিনি বলেন তারা আর কিছুই করবেনা বলে আমাকে বলেছেন। আমি ব্যস্ত আছি ভাই রাতে ফোন দিয়েন কথা বলবো।