ঢাকারবিবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাপের মুখে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হওয়ার অপেক্ষায় নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ

শের ই গুল :
ডিসেম্বর ১, ২০২৪ ২:২১ পূর্বাহ্ণ । ৩৪ জন
Link Copied!

(বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলেও নিজেদের কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা না চাইলে মাঠের রাজনীতিতে ফেরা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হবে। দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও যে হতাশা ও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, সেটি সামনে আরও বেড়ে অন্তর্বর্তী সরকার কতদিনে জনসমর্থন হারায়, আপাতত সেটিই দেখার অপেক্ষা করছেন নির্লজ্জ আওয়ামী লীগ)

শের ই গুল :

বাংলাদেশে গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর তিন মাস পরেও নিজেদের কৃতকর্মের বিষয়ে নির্লজ্জ আওয়ামী লীগে কোনো অনুশোচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং পুরো বিষয়টিকে এখনো ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই মনে করে দলটি। বিশেষ করে, গত জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলন দমনে যেভাবে শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাতে যত প্রাণহানি হয়েছে, সেটির দায় স্বীকার করে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি দলটিকে। দলটির শীর্ষ নেতারা এখনও বিশ্বাস করেন করেন যে, গণঅভ্যুত্থানের নামে “পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের” মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। একই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন নেতারা।

তবে এসবের মধ্যেই অগাস্ট পরবর্তী সাংগঠনিক বিপর্যয় কাটিয়ে দলটি আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। তৃণমূলে কেউ কেউ এলাকায়ও ফিরতে শুরু করেছেন। কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পর সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম কর্মসূচি দিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগকে। তবে এখনই সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নেই বলে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে। বরং দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও যে হতাশা ও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, সেটি সামনে আরও বেড়ে অন্তর্বর্তী সরকার কতদিনে জনসমর্থন হারায়, আপাতত সেটিই দেখার অপেক্ষা করছেন তারা। তবে বিদেশে ‘আত্মগোপনে’ থেকে শীর্ষ নেতাদের বাংলাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করা নিয়ে দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনেকের ক্ষোভ দেখা গেছে। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে তারা দেশে নেতা-কর্মীদের আরও বিপদের মুখে ফেলছেন। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ব্যর্থ হলেও নিজেদের কৃতকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা না চাইলে মাঠের রাজনীতিতে ফেরা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যথার্থই বলেছেন-জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ফলে যে সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে, প্রজন্মে তা একবারই আসে। তার সরকার সে সুযোগ কাজে লাগাতে চায় এবং তিনি রাজনীতিক ও দেশবাসীকে সে সুযোগ কাজে লাগাতে অনুরোধ করেছেন বারবার। অন্তর্বর্তী সরকার নিঃসন্দেহে একটি অন্তর্বর্তীকালীন গ্যাপ পূরণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। যে কোনো বিপ্লবের পর এমনটাই হয়। তবে সেখানে আরও কিছু অপশন থাকে। এখানেও ছিল অন্য কিছু অপশন। যেমন এটা হতে পারত বিপ্লবী সরকার, যে ক্ষেত্রে সংবিধান স্থগিত করা যেত এবং রাষ্ট্রপতিকে বাদ দেওয়া যেত। অথবা এটা হতে পারত সামরিক শাসন জারি করে মিলিটারি সরকার, যে ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী নিয়ে নিতে পারত সরকার পরিচালনার দায়িত্ব। এ দুধরনের সরকারেরই যে কোনোটার গ্রহণযোগ্য বাস্তবতা ছিল জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর। মুহূর্তের সিদ্ধান্তেই তা করা যেত। ছাত্র আন্দোলনকারীরা অনায়াসেই গঠন করতে পারতেন একটি বিপ্লবী সরকার। অথবা সরকারবিহীন সেই কঠিন সময়ে সামরিক বাহিনী মার্শাল ‘ল’ জারি করে দেশের ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারত। এর যে কোনো পদ্ধতিই সেদিনের বাস্তবতায় সম্ভব ছিল এবং জনগণের দ্বারা গ্রহণযোগ্য হতো।

কিন্তু এমনটা হয়নি। সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে তারা জড়াতে চাননি। এর মাধ্যমে তারা সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের পরিচয়ই জনগণের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন। সুযোগ থাকতেও ক্ষমতার প্রলোভন তাদের হাতছানি দিতে পারেনি বলে জনগণের ভরসার জায়গা সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের কুশীলবরা সেদিন অনায়াসেই দেশে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে পারতেন এবং দেশ পরিচালনায় তারা সরাসরি অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবে তা-ও ঘটেনি। ছাত্ররা তখন পর্যন্ত প্রস্তুত হতে পারেননি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সরকার পরিচালনা করতে পারেন, এমন ভাবনা তাদের মধ্যে আসেনি। বরং সেদিন তারা তৃতীয় অপশনটিই গ্রহণ করেছিলেন। ডেকে এনেছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারের নেতৃত্ব দিতে। ড. ইউনূসও তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেছিলেন, ‘তার নিয়োগকর্তা এ ছাত্ররাই।’ তখনো বীণার তারে একই সুর ছিল। ড. ইউনূস সংবিধান মেনে এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেন। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি মর্যাদা প্রধানমন্ত্রীর। সেই ক্ষমতাবলেই তিনি তার উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন এবং শপথ নেন।

কিন্তু মাস দুয়েক যেতে না যেতেই বীণার তারে জট বেঁধে গেল। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র অধিকার বলে মন্ত্রিসভার অর্থাৎ উপদেষ্টা পরিষদের কলেবর বৃদ্ধি করতে গিয়ে তিনি সমালোচনার মুখে পড়লেন। ছাত্র সমন্বয়করা হুংকার দিলেন-নতুন উপদেষ্টাদের মানি না; সরকার আমাদের সঙ্গে পরামর্শ না করে নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দিয়েছে। যে কাজটি সম্পূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ারভুক্ত, সেটা তিনি কেন অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন? সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি অন্য খেলার মাঠে। তাদের দাবি-নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন। তিন মাস যেতে না যেতেই নির্বাচনের জন্য বিএনপি এবং কিছু দল নির্বাচনের তারিখ জানতে মরিয়া। ছাত্ররা এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে-সংস্কার আগে এবং নির্বাচন পরে। সংস্কার করতে যতদিন লাগবে, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। বিএনপির ভাষা কঠিন হওয়া শুরু করল। নির্বাচন, নির্বাচন এবং নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাপের মুখে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নেই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না, দুর্নীতির চেহারা সেই আগের মতোই-শুধু হাত বদলেছে এই যা; দাবি-দাওয়া চারদিকে, ছাত্র আন্দোলনকারীরা ধৈর্যহারা, রাজনীতিকরা অসন্তুষ্ট। সব মিলে যেন দিশেহারা রাষ্ট্র পরিচালনায় অনভিজ্ঞ কিছু উপদেষ্টা। সরকারের বক্তব্য প্রকাশের মুখপাত্র হিসাবে কোনো উপদেষ্টাকে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, বিশেষ করে প্রেস সচিব ও উপ-প্রেস সচিবদের প্রধান উপদেষ্টার কথা, সরকারের কথা, রাজনৈতিক কথা-সব বিষয়েই কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় তারা ভুলে যাচ্ছেন যে, তারা সরকারি কর্মকর্তা-রাজনীতিক নন। অনেক সময় তারা রাজনৈতিক বক্তব্য উপস্থাপন করে পরিস্থিতিকে কিছুটা ঘোলাটে করছেন। ইতোমধ্যেই চারদিকে কারও কারও অনুচ্চ দাবি-আগেই তো ভালো ছিলাম!

আমার কাছে মনে হয়েছে, সরকার পরিচালনার পরিকল্পনা ঠিক করার আগেই ড. ইউনূস ক্ষমতায় বসেছেন। তারা কী করবেন, কতদূর যাবেন এবং কত সময় নেবেন-এমন কর্মপরিকল্পনা তাদের সামনে নেই। তাদের চোখের সামনে, বিশেষ করে ড. ইউনূসের সামনে শুধুই ছিল ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মুখগুলো। তারা তার নিয়োগকর্তা, তাদের হাতে দেশ গড়ার দায়িত্ব যাওয়া উচিত, তারা যেভাবে চাইবেন তা-ই হবে আগামীর চাওয়া ইত্যাদি ধরনের কথা অনেক ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ১৯৭১ সালে ছাত্র আর তরুণরাই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, প্রাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধশেষে তাদের ফিরে যেতে হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তারা রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার হতে পারেননি, কিংবা রাস্তা দখল করে সরকারের প্রেসার গ্রুপ হয়ে থাকতে পারেননি। কিন্তু ২০২৪ সালের বাস্তবতা কিছুটা আলাদা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা নাজুক হয়ে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনকারীদের এখনো শ্রেণিকক্ষে খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এ ছাত্ররা শ্রেণিকক্ষে ফিরে না গিয়ে রাষ্ট্র-সমাজ-রাজনীতি এবং সরকার পরিচালনার নেশায় বুঁদ হয়ে আছেন। তারা কখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন, নিজেরা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করার স্বপ্ন দেখছেন, কখনো বা আগামী রাজনীতিতে কে থাকবে, কে থাকবে না-এ নির্ধারণী শক্তিতে পরিণত হতে চাচ্ছেন। ক্ষমতা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব এসব থেকে দূরে থাকতে পারছেন না তারা। এতকিছুর মধ্যে নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার, তা রক্ষায় তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়াটাই শুধু হচ্ছে না।

এই অনেক সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাহলে কীভাবে নিজেদের পথ প্রশস্ত করবে? সরকারের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি পুলিশ। সেই পুলিশই আজ পর্যন্ত সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারল না! তিন মাস যেতে না যেতেই অবসরে ধাতস্থ হয়ে যাওয়া একজনকে বাহিনী প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হলো। অন্য একজনকে ডেকে এনে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগগুলো কি পুলিশের ভেঙে যাওয়া মনোবল জাগিয়ে তুলতে পারবে? তাই এসব দেখে যে-কেউ ভাবতে পারেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটু যেন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। আজ আওয়ামী লীগ নিয়ে বিতর্ক, কাল বিএনপির চাপ, পরদিন জামায়াতের পরামর্শ, মাঠপর্যায়ে তদারকির অভাব, সর্বোপরি আন্তর্জাতিক চাহিদা ও চাপ তাদের নড়েচড়ে বসারও সুযোগ দিচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে তাদের কিছুটা দৃঢ় অবস্থানের সুযোগ দিতে পারত যে আত্মবিশ্বাস, তারও অভাব আছে বলে মনে হয়। তাদের নেই কর্মপরিকল্পনা এবং কাজের পরিধি ও সময়। সংস্কারের জন্য তারা এক অসীম পরিকল্পনা চিন্তা করছেন, কিন্তু বাস্তবে তা কীভাবে সম্ভব, তার রোডম্যাপ নেই। সংবিধান, নির্বাচন, প্রশাসন, রাষ্ট্রব্যবস্থা-সবকিছুতেই তাদের সংস্কারের অভিপ্রায়। কিন্তু সে অভিপ্রায়ের বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে তেমন গবেষণা নেই তাদের মধ্যে। নেই কোনো সময় নির্ধারণের পরিকল্পনা। এ অবস্থায় কীভাবে তারা লক্ষ্য পূরণে সফল হবেন, তার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। যদি ছাত্রদের হাত ধরেই এগোতে চান, তাহলে অনেক লম্বা সময় পাবেন তারা; সবকিছু সংস্কার করেই বিদায় নিতে পারবেন নির্বাচন দেওয়ার পর। আর যদি রাজনীতির হাত ধরে এগোতে চান, তাহলে সামান্য সংস্কার করেই তাদের দিতে হবে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ। ক্ষমতায় অধিক সময় থাকতে চাইলে বিএনপি ফুঁসে উঠবে, আবার রাজনীতিকদের কথা বেশি শুনলে ছাত্রদের রোষানলে পড়তে হবে। এই উভয় সংকট কীভাবে কাটিয়ে উঠবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

You cannot copy content of this page