আমিনুল হক রিপন-চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৩১০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এসব ভারতীয় চোরাই চিনি সিলেট থেকে অবৈধ ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে পটিয়ায় আনা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী মাতৃভান্ডার এলাকার সড়কের উপর থেকে চোরাই চিনি খালাসের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ৩১০ বস্তা চিনিসহ ড্রামট্রাকটি জব্দ করে পটিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
আটককৃতরা হলেন, বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙা ইউনিয়নের আহাল্লা এলাকার মো. হোসেনের পূত্র মো. রহমত উল্যাহ (৪৭), পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের খানমোহনা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মো. রেজাউল হক (৩২), সিলেট জেলার শাহপরান থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের আবুল মিয়ার ছেলে মো. রুবেল আহাম্মদ (৩৮) কে ঘটনাস্থল হতে গ্রেফতার করা হয়।
পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম জানতে পারে সিলেট থেকে অবৈধ ভাবে কর ফাঁকি দিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু চোরাই চিনি পটিয়ার খানমমোহনা এলাকার রেজাউল হক বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে সুচক্রদন্ডী এলাকায় নিয়ে আসে। তখন পুলিশ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলামের নির্দেশনায় পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক ইয়ামিন সুমন,আকরাম হোসেন সুমন, মো. আসাদুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর দর্জি ও গোলাম সরোয়ার সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটিকার সময় পটিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়াডের সুচক্রদন্ডি মাতৃভান্ডার এলাকা থেকে ৩১০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনিসহ একটি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়। এসময় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৩১০ বস্তা ভারতীয় তৈরি চিনির ওজন ১৫ হাজার ৫শ কেজি চিনি, যার মূল্য ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রজু করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব চিনির বস্তা ও ট্রাক জব্দ করা হয়। এসব ভারতীয় চোরার চিনি কর ফাঁকি দিয়ে সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসে ১৫ টনেরও বেশি চিনি।