মো: রাসেল হাওলাদার-ইন্দুরকানি :
পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে অর্ধ শতাধিক ছররা গুলি শরীরে নিয়ে চলছেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুর রহমান, পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলা ৪ন; সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের ৪ন; ওয়ার্ডের হাসেম খানের ছেলে, এবং তিনি ৪ন; ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর রাতে জামাত-বিএনপি’র একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি সহ আরো ৭-৮ জন গুলিবিদ্ধ হন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর রাতে, মানবতা বিরোধী অপরাধে সাজানো মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসীর রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসির রায় কার্যকারের প্রতিবাদে দক্ষিণ ইন্দুরকানি (মিলবাড়ি) এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়, মিছিলটি জিয়ানগর এফ করিম মাদ্রাসা হয়ে, ঘোষের হাট বাজার অতিক্রম করার সময়,বৃহত্তর পত্তাশী ইউনিয়ন এবং বর্তমান সদর ইন্দুরকানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি,তোবারেক আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়, গুলিতে শুকুর আলী নামে এক যুবক মারা যায়, আহত হন সিদ্দিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, লুৎফার,সুমনসহ মোট আটজন।তাকে প্রথমে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে, পরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে তিনি ৩ মাস অবস্থান করে চিকিৎসা নেন। তার শরীর থেকে ৫৪ টি ছররাগুলি বের করা হলেও থেকে যায় আরো অর্ধ শতাধিক।ডায়াবেটিসের কারণে বাকি গুলি গুলো কিছু দিন পরে উঠানোর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি, সিদ্দিকুর রহমান আরো জানান, তার শরীরে এখনো অর্ধ শতাধিক ছররা গুলি রয়েছে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না, হাঁটতেও কষ্ট হয়। তিনি দীর্ঘ ১১বছর ধরে বিচার পাননি, উল্টো ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ৯টি মামলার হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাই এখন তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
ইন্দুরকানি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল শিকদার বলেন, সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। ইন্দুরকানের সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম মাতুব্বর বলেন, সিদ্দিকুর রহমান ২০১৩ সালে গুলিবিদ্ধ হন, আমি আওয়ামী লীগ নেতা তোবারেক আলী হাওলাদার সহ যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের সকলের ফাঁসি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ইন্দুরকানি উপজেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি আল আমিন সিকদার বলেন, সিদ্দিকুর রহমান বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী, তিনি ২০১৩ সালে গুলি বৃদ্ধ হন,এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।