সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
মোঃ মাইনুল ইসলাম ইমন :
মোসাঃ জোসনা বেগম ৩৫ বছর পিতা – মৃত্যু সিদ্দিক মুন্সি, সাং- পূর্ব হাসামদিয়া ৫ নং ওয়ার্ড,ভাঙ্গা পৌরসভা থানাঃ ভাঙ্গা জেলাঃ ফরিদপুর।
মোঃ জাহিদ শেখ বয়স ৪০ বছর,পিতা মৃত্যু জিন্নাত শেখ সাং মহেশ্বরদী ছোট মুচকুরনী, ইউপি- হামিরদী, থানাঃ ভাঙ্গা জেলাঃ ফরিদপুর।
আমার স্বামী মোঃ জাহিদ শেখ এর সাথে আমার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় বিবাহের পরে আমাদের সংসারে দুইটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
১ মোঃ ওমর শেখ বয়স ৬ বছর ২ মোঃ ওসমান শেখ বয়স ৯ মাস। বিবাহের কিছুদিন পর হইতে মোঃজাহিদ শেখ আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করা সহ প্রতি নিয়ত আমাকে মারপিট করে মোঃ জাহিদ শেখ।
এর প্রথম স্ত্রী আছে সম্পূর্ণ গোপন রেখে আমাকে বিবাহ করে, পরবর্তীতে আমি যখন জানতে পারি তখন সে আমাকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে বোঝানোর চেষ্টা করে সমস্যা কি একটি ছেলে দুই তিনটি বিবাহ করিতে পারে।
এখন দেখো তোমার আমার সংসারে দুইটি ছেলে সন্তান আছে এদের দিকে তাকিয়ে সবকিছু মেনে নিতে হবে।
এই দুটি সন্তানদেরকে এতিম করা যাবে না আমি আমার বড় স্ত্রী কে তার ভবিষ্যৎ করে দিয়েছি। তোমাকেও করে দিব তুমি একটু ধৈর্য ধরো আমাকে সহযোগিতা কর। আমি বলি আমি কি ভাবে সহযোগিতা করিতে পারি তুমি আমাকে ৩ লক্ষ টাকা দাও তোমার জন্য ও দুই সন্তানের জন্য একটি বাড়ি করে দেব সমস্যা কি আমার তো জমি আছে আর বড় স্ত্রীকে বাড়ি করে দিয়েছি।
এখন তোমাকে ও দুই সন্তান কে একটি সেপারেট বাড়ি করে দিব
তুমি সেই জায়গায় বসবাস করিবা।
আর আমার বড় স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা বেগম তার বাড়িতে সে বসবাস করিবে।
তাহলে দুই সংসারে শান্তি ফিরে আসবে আমি বলি এখন আমি ৩ লক্ষ টাকা কোথায় পাবো সে আমাকে বলে তোমার খালাতো ভাই সহ আত্মীয়-স্বজন এর সঙ্গে পরামর্শ করে একটু ম্যানেজ কর।
পরবর্তীতে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে আলাপ করি আমার খালাতো ভাই এক লক্ষ টাকা দিতে পারিবে আর আমার যে স্বর্ণের জিনিস আছে এ গুলো বিক্রি করে দেখো কত টাকা হয় তারপর তুমি বাড়ির কাজ ধর।
সে বাড়ির কাজ না ধরে তার বড় স্ত্রী খাদিজা বেগম এর ইন্দনে এবং কু- পরামর্শে আমার স্বামী মোঃ জাহিদ শেখ আমার ও আমার দই পুত্র সন্তানদের ঠিকমতো ভরন পোষণ দেয় না।
এ বিষয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবহি করি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মোঃজাহিদ শেখ কে নিয়ে সালিশ দরবার করে।
শালির দরবারে আমার স্বামী মোঃ জাহিদ শেখ আমাকে এবং তাহার প্রথম স্ত্রীকে সমান অধিকার দেবে, এই মর্মে অঙ্গীকার করিলেও কিছুদিন পার হওয়ার পর আমার স্বামী মোঃ জাহিদ শেখ আমাকে ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেয় না।
আমি জীবিকা তাগিদে মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি করি, মোঃ জাহিদ শেখ আমার বেতনের টাকা চুরি করিয়া নিয়া অন্যএ নষ্ট করিয়া ফেলে।
আমার স্বামী মোঃ জাহিদ শেখ ব্যবসা করিবে মর্মে আমি বিভিন্ন তারিখে ও সময় বিভিন্ন অংকের টাকা প্রদান করি,মোঃজাহিদ শেখ ব্যবসা না করিয়া তাহার প্রথম স্ত্রীকে সম্পূর্ণ টাকা পয়সা দিয়ে দেয়।
আমার ও আমার সন্তানদের থাকার মত ঘর উত্তোলন করিয়া দিতে বলি,মোঃ জাহিদ শেখ আমাকে আমার সন্তানদের নতুন ঘর উত্তোলন করিয়া দিবেনা বলে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে।
গত ইংরেজি ২৩-৪-২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় বিবাদী মোঃ জাহিদ শেখ আমার বসত ঘরে থাকা আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণ অলংকার যাহার মূল্য অনুমান চার লক্ষ টাকা ও নগত আশি হাজার টাকা সহ ঘরের বিভিন্ন আসবাব পত্র নিয়া পালাইয়া যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনদের জানিয়ে রাখি, উক্ত তারিখের পর হইতে মোহাম্মদ জাহিদ শেখ আমার ও আমার সন্তানদের কোন খোঁজ খবর নেয় না এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে না আমাদের কোন ভরন পোষণ দেয় না।
সে আমাকে এই বলে হুমকি প্রদান করে তোকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দিব তাও আইনের মাধ্যমে দিব।
স্বামী যদি স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন, তাহলে এটি যৌতুক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, যা বাংলাদেশে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী, বিয়েতে সম্পদ বা মূল্যবান জিনিস আদান-প্রদান করা যৌতুক। এই আইনের অধীনে, যৌতুক চাওয়া বা দেওয়া উভয়ই অপরাধ। যদি স্বামী এমনভাবে টাকা নেন যা একটি বড় অঙ্কের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এটি আইনের চোখে দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এর জন্য কঠোর শাস্তি হতে পারে।