পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকায় গেল আরো দুটি নতুন ট্রেন
নিউজ ডেস্ক:: বিজয়ের মাসে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা গেল আরো দুটি নতুন ট্রেন। আজ শুক্রবার সকালে ও দুপুরে (১লা ডিসেম্বর) রাজশাহী থেকে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস এবং খুলনা থেকে নকশীকাঁথা মেইল ২টি ট্রেন পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করেছে। এই নিয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা দাড়ালো ৪টি ট্রেন । তবে নতুন ২টি ট্রেন যুক্ত হওয়ায় ভাঙ্গা সহ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা হয়ে ১০০ টাকায় মানুষ ঢাকা যেতে পারছে।
এব্যাপারে ভাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টার মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আজ শুক্রবার সকালে ৮ টা ২০ মিনিটে ১টি ও দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে আরেকটি মোট ২টি ট্রেন (১ ডিসেম্বর) ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় চলাচল করেছে। মাত্র ১০০ টাকা ভাড়ার কারণে যাত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ভাব প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এদিকে আরো দুটি ট্রেন যুক্ত হওয়ায় মিরান মাতুব্বর ও আলামিন নামের ২ যাত্রী জানায়, আজ নতুন করে দুটি ট্রেন যুক্ত হয় বিজয়ের মাসে রেলের কর্মকর্তা সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আমরা সহ সকল যাত্রীদের মাঝে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এর আগে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় চলাচল করতো সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস নামের ২টি ট্রেন। এবার আরো নতুন করে চালু হল ২টি ট্রেন। মাত্র ১০০ টাকা ভাড়া করায় এলাকার লোকজন ও দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতে খুবই সুবিধা হল।
ভাঙ্গা ট্রেন স্টেশন টিকেট মাস্টার আব্দুল হান্নান জানান, আজ ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ছেড়ে গেল নতুন ২টি ট্রেন। ট্রেন ২টির ভাড়া কম, ঢাকায় যেতে পারবে মাত্র ১০০ টাকায়। সিট সংখ্যা বেশি, ট্রেন স্টেশন সংখ্যাও বেশি, ট্রেন ২টি সকল ট্রেন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে । যে কারণে যাত্রীদের সুবিধা হয়েছে। আজকে সকালে ৫০টি টিকিট কাটা হয়েছে। অনেকে অনলাইনে টিকিট কেটেছে। অধিকাংশ যাত্রী সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। পুর্বের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস নামের ২টি ট্রেন ভাঙ্গা থেকে যাত্রীরা সিট পেত না। তারপর ভাড়া ও ছিল ডবল। পুর্বে থেকেই ট্রেনের যাত্রী ভরে আসতো, ভাঙ্গা থাকে মাত্র আসন ছিল ৩টি। আসন কম থাকায় অনেক যাত্রী ঢাকায় যেতে পারতো না। আজ ১ ডিসেম্বর থেকে চারটি ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীদের আর কোন সমস্যা হবে না।
রেলবিভাগ সুত্রে জানা যায়, খুলনা থেকে রাজবাড়ির গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত চলাচল করতো নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ঐ ট্রেনটি তাহার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। আজ সকালে খুলনা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এবং ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পর্যন্ত চলাচল করবে। তবে ২টি ট্রেন চলাচলের সময় সূচিতে দেখা যায়, আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে । আবার ঐ ট্রেনটি ঢাকা থেকে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, কালুখালী জংশন, রাজবাড়ী, পাঁচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা, পুকুরিয়া, ভাঙ্গা, শিবচর, পদ্মা জাজিরা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে।
অপর নকশীকাঁথা মেইল ট্রেনটি খুলনা থেকে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।