অনলাইন ডেস্ক : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানি তার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করে। অতীতে পুঁজিবাজারে মন্দ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যথাসম্ভব ভালো কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও বড় বেশকিছু কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরো কিছু কোম্পানি। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের সরবরাহ বাড়লে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাছাইয়ের পরিধি আরো বিস্তৃত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, আইপিও অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই দেখছি যে কোম্পানির ব্যবসা টেকসই কিনা। তারপর আমরা কোম্পানির আর্থিক ফলাফলসহ অন্য দিকগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আমরা চাই না পুঁজিবাজারে এমন কোনো কোম্পানি আসুক যে তালিকাভুক্ত হওয়ার দুই তিন বছরের মধ্যে জেড ক্যাটাগরিতে চলে যাবে কিংবা বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য আমরা টেকসই ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। এ পর্যন্ত আমরা যে কোম্পানিগুলোর আইপিও অনুমোদন দিয়েছি, সবগুলোর ব্যবসা টেকসই এবং তারা অনেক বছর ধরে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। কৃষিভিত্তিক ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দুটি কোম্পানির আইপিওর কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। সব শর্ত পূরণ করতে পারলে সামনে এ কোম্পানিগুলোর আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অ্যাপল, অ্যামাজন, আলিবাবার মতো প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোই কিন্তু পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমাদের দেশে কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসেনি। আমরা চাইছি আমাদের এখানেও এ ধরনের কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসুক।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এরই মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য আইপিও সাবস্ক্রিপশন সম্পন্ন করেছে। এ সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে। ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করবে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের নিজেদের বিডিংকৃত মূল্যে ইস্যু করা হবে। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের কাট অফ প্রাইস ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করেছেন। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি শেয়ার কাট অফ প্রাইসের ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকায় ইস্যু করা হবে। এ বছরের ৭ জানুয়ারি বিএসইসির ৭১৪তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও বিডিং অনুমোদিত হয়। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিএমআরই, ৩৩ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও সাড়ে ৪ কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ নির্বাহে ব্যয় করা হবে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ ওয়ালটন হাইটেকের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া যা ১৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা। গত পাঁচ বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২৮ টাকা ৪২ পয়সা।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন পেয়েছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। সম্প্রতি বিএসইসির ৭৩৪তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রান্ত-সীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইস) নির্ধারণের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে এলপিজি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ নির্বাহে ব্যয় করবে। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের সমন্বিত আর্থিক বিবরণী অনুসারে, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির এনএভিপিএস ৪৫ টাকা ১৫ পয়সা আর পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া এনএভিপিএস ৩০ টাকা ২০ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা। গত পাঁচ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুসারে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য বিএসইসির ৭৩৫তম কমিশন সভায় ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারণের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন পেয়েছে নির্মাণ খাতের প্রতিষ্ঠান মীর আকতার হোসেন লিমিটেড। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত ১২৫ কোটি টাকার মূলধন দিয়ে কোম্পানিটি সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩২ পয়সা। আর এ সময়ে পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৭১ পয়সা। পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া যা ৩৩ টাকা ৬৩ পয়সা। গত পাঁচ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী মীর আকতারের কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ২১ পয়সা।
সম্প্রতি বিএসইসির ৭৩৬তম কমিশন সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারণের অনুমোদন পেয়েছে লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিওর খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুসারে, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির এনএভিপিএস ৩১ টাকা ৯৩ পয়সা আর পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া এনএভিপিএস ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। গত পাঁচ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস ২ টাকা ২৩ পয়সা। লুব-রেফের মূল ব্যবসা লুব্রিক্যান্ট উৎপাদন ও বিপণন। তাদের বাজারজাতকৃত লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ড বিএনও। কোম্পানিটি বিদেশেও লুব্রিক্যান্টস রফতানি করে থাকে।
এছাড়াও টেলিকম খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা এবং জ্বালানি খাতের কোম্পানি ওমেরা পেট্রোলিয়াম পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।এরইমধ্যে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে রবির পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় চেয়ে কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কমিশন এগুলো যাচাই বাছাই করে দেখছে। কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রতই রবির আইপিওর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। জ্বালানি খাতের কোম্পানি ওমেরা পেট্রোলিয়াম পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে ২৩৮ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছিল। সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন বাড়িয়ে পুনরায় সংশোধিত আইপিও আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিএসইসির আইপিও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতিষ্ঠিত ও ব্যবসায়িকভাবে সফল এমন কোম্পানিকেই আইপিওর অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।এখন পর্যন্ত আমরা যে আইপিওগুলো অনুমোদন দিয়েছি, সেগুলোর কিন্তু দুই-তিন বছর আগে আবেদন করা। আমরা যাচাই-বাছাই করে যেগুলোকে ভালো মনে করছি, সেগুলোর অনুমোদন দিচ্ছি। আর যারা সব শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের আবেদন বাতিল করে দেয়া হচ্ছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে আসার জন্য পাইপলাইনে যেসব কোম্পানি ছিল, সেগুলোর প্রায় সবগুলোর বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন ফিক্সড প্রাইসের কিছু আইপিও যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। নতুন যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী তারা এ বছরের জুনের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত হওয়ার পর আমাদের কাছে আইপিওর আবেদন করবে। আইপিওর পাশাপাশি আমরা বন্ডসহ পুঁজিবাজারের অন্য যেসব ইনস্ট্রুমেন্ট রয়েছে, সেগুলোকেও জনপ্রিয় করতে কাজ করছি। সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। আমরা বর্তমানে যেসব বন্ডের অনুমোদন দিচ্ছি, সেগুলো কিন্তু পুঁজিবাজারের প্লাটফর্মে লেনদেনযোগ্য। আমরা ইকুইটিনির্ভরতা কাটিয়ে একটি বৈচিত্র্যময় পুঁজিবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পুঁজিবাজারে আসারযোগ্য এমন ভালো কোম্পানির তালিকা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন এক্সচেঞ্জটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক।তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, করোনার কারণে আমাদের বেশকিছু পরিকল্পনা পিছিয়ে গেছে। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে গতিশীলতা দেখা যাচ্ছে, সেটি বজায় রাখার জন্য নতুন করে আরো ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। এজন্য আমরা এরই মধ্যে বেশকিছু ভালো কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। দেশের ওষুধ খাতের বেশকিছু শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি বর্তমানে পুঁজিবাজারে রয়েছে। এর বাইরেও ওষুধ খাতের আরো বেশকিছু ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারের বাইরে রয়েছে। আমরা তাদের আইপিওতে নিয়ে আসতে চাই। শুধু ওষুধ খাতই নয়, অন্যান্য খাতের যেসব ভালো কোম্পানি রয়েছে সেগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে উদ্যোগ নেয়া হবে। আশা করছি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হবে।
দ্রুততার সঙ্গে আইপিও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়ার কারণে যেসব ভালো কোম্পানি এখনো পুঁজিবাজারের বাইরে রয়েছে তারাও আইপিওতে আসতে আগ্রহী হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ মাহমুদ। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, নতুন কমিশন এ পর্যন্ত যেসব আইপিও দিয়েছে সেগুলো ভালো শেয়ার।অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে যারা আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হয় না। কিন্তু নতুন কমিশন এসে দ্রুত আইপিও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সামনের দিনগুলোতে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহিত হবে বলে আমি মনে করছি।
সূত্রঃ বনিক বার্তা