আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করা তারকা প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণখেলাপির সন্ধান মেলেনি।
প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাছাই চলছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবিতে সংরক্ষিত ঋণগ্রহীতার তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে প্রার্থীদের কেউ ঋণখেলাপি কিনা। এ লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ওইসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিভাগ খোলা থাকছে।
শুক্রবার থেকে মনোনয়নপত্র বাছাই শুরু হয়েছে। চলবে সোমবার পর্যন্ত। সোমবার রাতে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ঋণখেলাপিসহ অন্যান্য কারণে যারা নির্বাচনে অযোগ্য হবেন তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থীদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রার্থীদের মধ্যে ঋণখেলাপির সন্ধান শুরু করে। প্রার্থীদের মধ্যে কোনো ঋণখেলাপি থাকলে তা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কিছু তথ্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে যারা ঋণখেলাপি তাদের শনাক্তের পর চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল করার আগে প্রার্থীকে খেলাপি মুক্ত হতে হবে। এ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল। এর আগের দিন পর্যন্ত যারা খেলাপি মুক্ত হতে পেরেছেন তারাই শুধু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিকগুলো দলগুলো অংশ নিচ্ছে না। ফলে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে ঋণখেলাপিদের তেমন তৎপরতাও ছিল না। তবে কয়েকজন তারকা প্রার্থী তাদের খেলাপি ঋণ নবায়ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি একটি ব্যাংকে দুজন প্রার্থী বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ নবায়ন করেছেন। কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকেও কয়েকজন প্রার্থী খেলাপি ঋণ নবায়ন করেছেন। তবে এর আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের খেলাপি ঋণ নবায়নের হিড়িক পড়ত। এবার সেটি পড়েনি।