কালিয়াকৈরে ক্লু-লেস হত্যা মামলার ২ আসামী গ্রেফতার
তুষার আহম্মেদ
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ক্লু-লেস হত্যা মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম জানান,গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে গজারি বনের ভেতর হতে অজ্ঞাত ২০-২৪ বছর বয়সী এক যুবক বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা স্টেশনে মহাসড়কে এসে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠায়। ঐদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ১৯ জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির ছবিসহ সংবাদ ছাপা হলে, নিহতের চাচা দেওয়ান লিখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রের সূত্র ধরে কালিয়াকৈর থানায় আসেন এবং পরে গাজীপুর মর্গে গিয়ে নিহত যুবক তার ভাতিজা বলে শনাক্ত করেন।
নিহত যুবক ইমরান হোসেন শান্ত (২৪) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার বানিয়াকৈর গ্রামের হায়দার আলী প্রামানিকের ছেলে। নিহতের চাচা দেওয়ান লিখন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের ১৬ দিনের মাথায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে এবং আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও নিহত ইমরান হোসেন শান্তর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেটটি উদ্ধার করেন।আসামি মাহবুব হাসান ওরফে বাঁধন (৩৫) নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর থানার পিরোজপুর (মধ্যপাড়া) এলাকার মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে। অপর আসামি সুজন ওরফে খোকন(২২)গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানার এনায়েতপুর গ্রামের নজল মিয়ার ছেলে। তারা উভয়েই গাজীপুর ও সাভারের বিভিন্ন অঞ্চলে কখনো ভাড়া বাসায় থেকে কখনো ভাসমান অবস্থায় থেকে ছিনতাই ও ডাকাতি করত। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পিপিএম ও এসআই জামিনুর রহমান। ধৃত আসামিগণ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।