রাহিমা আক্তার মুক্তা :
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ঢাকা মেট্রো-২ এর কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া ফিটনেস শাখার মোটরযান পরিদর্শক নাসিম হায়দার নিজে ও সকল দালালদের নিয়ন্ত্রণ করে অবৈধভাবে ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন তদবির করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাহকদের হয়রানিরসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও কিশোরগঞ্জ সদর জেলার উত্তর কুড়িমারা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের ছেলে নাসিম হায়দার । বর্তমানে বাসা নাম্বার ৫৪০ রোড নাম্বার ২, ব্লক প, পল্লবী ঢাকা। তার পরিচয় পত্র নাম্বার ৫০ ৯৪৪ ৭ ০০ ৭৬, টিন নাম্বার ৭৩ ৮২ ৯১১৬৯৮৯। কিশোরগঞ্জ কিশোরগঞ্জের মন্ত্রী এমপিদের ক্ষমতা দেখি চাকুরি শুরু থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ক্ষমতা অপব্যবহার করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছেন দালালদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-২ সহ অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, ঘুষ-বানিজ্য মাধ্যমে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস শাখার মোটরযান পরিদর্শক নাসিম হায়দার নিরবে। কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া বিআরটিএ ফিটনেস শাখায় কর্মরত নাসিম তার নিজস্ব দালালের মাধ্যমে নিয়োমিত অন্যান্য দালালদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে বিআরটিএ এব প্রতিদিন শত শত ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে ফিটনেস দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গাড়ীর ফিটনেসের কাগজপত্র আগেই নিয়ে নেয় দালালের মাধ্যমে নাসিম হায়দার। পরে পাশ করিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাবেক ক্যাডার হিসেবে ও বিআরটিএ'র চাকুরির সুবাদে এককভাবে দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্যএবং দালালদের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি ও অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ। লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে জানা গেছে, বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল- ২, কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া কর্মরত আছেন নাসিম হায়দার । তিনি বর্তমানে বিআরটিএতে মোটরযান পরিদর্শক ফিটনেস শাখায় অন্যান্য মোটরযান পরিদর্শকদের সহযোগিতায় নাসিম এককভাবে প্রতিনিয়ত দালালের মাধ্যমে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছাড়াই ঘুষের টাকা বিনিময়ে ফিটনেস ওকে হয়েছে বলে পাশ করিয়ে দিয়ে থাকেন। মেট্রো- ২ বিআরটিএর কয়েক ডজন দালালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে মোটা অংকের ঘুষের টাকার নিয়ে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট অফিসের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে । নাসিমের দুর্নীতি ও অপকর্মের টাকার ভাগ মোটরযান পরিদর্শক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়মিত ভাগ পান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘুষের টাকা বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ'র কর্মকর্তারা সর্বোত্ত সহযোগিতা করেন নাসিমকে। অভিযোগে আরো জানা গেছে বিনিময়ে প্রতিটি ফিটনেসের ওকে করার ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। প্রতিটি গাড়ীর ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে উপরোক্ত টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন। তার কয়েকজন সহকারীরা এইসব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করে থাকেন। তার নিয়োজিত দালালের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকের নিকট থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। এই বিষয়ে একাধিক প্রমান রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে। লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বিআরটিএ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদন ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরো মন্ত্রী এমপিদের পরিচয় দিয়ে তিনি নিজে এবং তার অফিসের দালালদের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকদের নিকট ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের কারণে বিআরটিএ থেকে অনেকেই বদলি হয়ে গেলও নাসিম হায়দার বদলি হচ্ছে না কেন ? কিন্তু আওয়ামী লীগের দোসর ও বিআরটিএ এর মেট্রো-২, কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এর প্রভাবশালী মটরযান পরিদর্শক এখনও তার স্বপদে বহাল রয়েছেন। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিআরটিএ তে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই বলে তিনি সবার কাছে বলে বেড়ান। তার অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবে বিআরটিএ মেট্রো সার্কেল-২, ফিটনেস শাখা বর্তমানে ধ্বংঘের দারপ্রান্তে। তার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিআরটিএ এর গ্রাহকগণ খুবই উপকৃত হবে। তার ঢাকায় বাড়ী এবং কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বিআরটিএ তে চাকুরী করার সুবাদে তিনি এই সুবিধা গ্রহণ করছেন। ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, আমি একটি গাড়ির ফিটনেস করার জন্য কাগজপত্র জমা দিলে আমাকে দিনের পর দিন ও মাসের পর মাস ঘুরাইতো। যখনই তার নিজস্ব দালাল মাধ্যমে টাকার দেওয়া হয়। সেই টাকার বিনিময়ে তাড়াতাড়ি ফিটনেস কাজ করে দেন। তিনি আরো বলেন বি আর টি এতে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। দালাল সিন্ডিকেট দের বিআরটিএ থেকে বিতাড়িত না করলে গ্রাহকরা কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে নাসিম হায়দার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এসব কাজের সাথে জড়িত নয়। আমার বিরুদ্ধে হয়তো কেউ অপপ্রচার করছেন। অভিযোগকারী শাহাবুদ্দিন আহমেদ অভিযোগে আরো বলেন ,তার বিষয়ে তদন্ত করলে আরও অসংখ্য তথ্য পাওয়া যাবে। উপরোক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রলয়ের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
|| প্রকাশক ও সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন || নির্বাহী সম্পাদক : জি.এস জয় ||
Copyright © 2024 আমার প্রাণের বাংলাদেশ. All rights reserved.You cannot copy content of this page