নার্গিস আক্তার :
রাজধানীর উত্তরায় আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।এই ব্যবসা পরিচালনা করছে কয়েকজন ডজন কুখ্যাত দেহ ব্যবসায়ী।এই দেহ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত টুংগী গাজীপুর এলাকায় হোটেলে দেহ ব্যবসা করে আসছিলো। যখন ঐ এলাকায় প্রশাসন সততার সাথে হোটেল গুলোতে হানা দিয়েছে,তখনই এই নারীভোগী দেহব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ফ্লাট ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ও ফ্লোর ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা।এই সকল হোটেলের বিরুদ্ধে নিউজ করে লাভ হয়নি।কারন হোটেল মালিকেরা জানায় নিউজ করলে তাদের হোটেলের কিছু করতে পারবে না।বরং হাইলাইটস হবে।হোটেল মালিকরা আরো জানায় মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলে দিয়ে ব্যবসা করি।কোন সাংবাদিক লিখে আমাদের কিছু করতে পারবে না।আমরা হোটেলে কিছু করার আগে পুলিশ আমাকে ফোন করে সতর্ক করে দিবে। তখন আমি মেয়েদের নামিয়ে দিবো। পরবর্তীতে সাংবাদিক ও পুলিশ তল্লাশি করে কিচ্ছু পাবে না।বরং সাংবাদিকরা লজ্জা পাবে।তাহলে দেহ ব্যবসায়ী হোটেল ব্যবসায়ীদের কথাটাই সঠিক। না হলে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে রমরমা দেহ ব্যবসা ও মাদক সেবন। উত্তরায় আছে নামি দামী শপিং মলের দোকান।ব্যাংক বীমা অফিস। আর এই সুন্দর জায়গায় চলে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে অন্তরংগ দেহব্যবসা।যে সকল হোটেলে অবৈধ দেহ ব্যবসা চলে তার মধ্য অন্যতম ৬ নাম্বার সেক্টর পার্কের দক্ষিন পাশে লাগা মিলিনা হোটেল। যেখানে চলে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা। এই হোটেল মালিক দেহ ও মাদক সম্রাট মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও থেমে নেই দেহ ব্যবসা।ঐ বাড়ির মালিক তাদের অবৈধ হোটেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও বিভিন্ন মহলের চাপ সৃষ্টি করে সেখানে থেকে এধরনের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করার ষড়যন্ত্র চলছে। উত্তরা ৬ নাম্বার সেক্টর কল্যান সমিতির মত ওপেন জায়গায় যদি এধরণের মাদক ও দেহ ব্যবসা চলে,তাহলে যুব সমাজ ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে নষ্ট হবে অচিরে। বিভিন্ন হোটেলে অন লাইন সহ,মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ে আসে খদ্দেরদের। এই ব্যাপারে জানার জন্য উত্তরা পুর্ব থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠো ফোনে,ফোন করেও পাওয়া যায় নি। উত্তরার সুশীল সমাজের একটাই দাবি, উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় হোটেলে দেহ ব্যবসা চললে এলাকার যুব-সমাজ নষ্ট হবে।এবং কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা হবে বেপরোয়া, মাদক সহ অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়বে উঠতি বয়সি ছেলে মেয়েরা। এব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের একটাই দাবী প্রশাসন এধরণের নষ্ট হোটেল চিন্তিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্হা গ্রহণ করলে উপকৃত হবে এলাকার বাসিন্দাদের।