ঢাকাশনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উত্তরার ফুলবাড়ীয়া নূরজাহান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল চিকিৎসায় রোগি মেরে ফেলার অভিযোগ

রবিউল আলম রাজু :
নভেম্বর ২৩, ২০২৪ ৯:৫০ অপরাহ্ণ । ২৭ জন
Link Copied!

রবিউল আলম রাজু :

মানুষের বেঁচে থাকার সবচেয়ে বিশ্বস্ত জায়গাটি এখন নরকে পরিণত হয়েছে। উত্তরার ফুলবাড়ীয়া নূরজাহান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কথা বলছি।

আসমা আক্তার, তিনি কোন ডাক্তার বা নার্স না হয়েও তুরাগে বাড়ি-১৬, রোড-০১, ফুলবাড়ীয়া, নূরজাহান ক্লিনিক নামে একটি অবৈধ ক্লিনিক খুলে প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন, তিনি নিজেই রোগী দেখেন এবং তিনি কোন প্রকার পরিক্ষা নিরিক্ষা না করে রোগীদের হাতে রিপোর্ট তুলে দিচ্ছেন এ নিয়ে বিগত দিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

রাজধানীর তুরাগের ফুলবাড়ীয়া এলাকায় ডাক্তার, লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় লোকবল ছাড়াই চলছে নুরজাহান ক্লিনিকের সেবাদান। ক্লিনিক ল্যাব না থাকলেও রক্ত পরীক্ষা এবং আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট অবৈধভাবে তৈরি করে রোগীদের সাথে নিয়মিত প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকটির মালিক আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে। ক্লিনিকটির নাম নূরজাহান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এটি পরিচালনা করার জন্য নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। আবাসিক ভবনের দুই তলায় একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কয়েক মাস যাবত ক্লিনিকটির কার্যক্রম চলছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লিনিকটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেই ল্যাব, তবুও ক্লিনিকের রিসিপশনে বসে প্রিন্টার দিয়ে ক্লিনিকের প্যাডের উপর আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট প্রিন্ট দিচ্ছেন আসমা। ডাক্তারের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেই ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে রোগীর হাতে তুলে দিচ্ছেন ভুয়া রিপোর্ট। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাজধানীর তুরাগের ফুলবাড়ীয়া এলাকায় নুরজাহান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আসমা আক্তার। তিনি নিজেকে শিশু হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী ডেলিভারিসহ ডিএনসি করছেন। নিয়মিত ক্লিনিকে রোগী দেখার পাশাপাশি নিজেই ওষুধের প্রেসক্রিপশন করছেন তিনি। এমনকি ভুল চিকিৎসায় জীবন হারিয়েছে মনোয়ারা নামের এক গর্ভবর্তী মহিলা। ঐ নারীর স্বামী ও আত্মীয়দের অভিযোগ, মনোয়ারাকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলেছে আসমা আক্তার। ডেলিভারির কাজ করতে গিয়ে রোগির শরীরের গোপন অঙ্গ কেটে ক্ষত করে ফেলেন। ফলে অনেক পরিমাণে রক্তপাত হয়। পরে তিনি তাড়াহুড়া করে আমার স্বামীর নিকট টাকা নিয়ে একটি সাদা কাগজে কিছু ওষুধের নাম লিখে দিয়ে চলে যান। ঘটনার দুই দিনেও রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় ক্ষতস্থানে ইনফেকশন দেখা দিলে তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের মতো সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করছে। শেষ পর্যন্ত মনোয়ারা মারা যায়। এ বিষয়ে মনোয়ারার স্বামী মোঃ আজিজুল হক প্রাণের বাংলাদেশকে জানায়, বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা হয়েছে।

You cannot copy content of this page