স্টাফ রিপোর্টার :
আদম ব্যাবসা কিংবা বিদেশে লোক পাঠানোর এজেন্টগুলো নিয়ে রয়েছে হাজারও প্রতারণার গল্প। সকল প্রতারণাকে পিছনে ফেলে উত্তরা ৯ নাম্বার সেক্টরের বাড়ির মালিক আরিফের বিরুদ্ধে উঠেছে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি সহ হয়েছে সেনা বাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, মোঃ আরিফ রহমান (সোহেল), পিতা- মৃত সিদ্দিকুর রহমান, ঠিকানা # ১৯, রোড # ৩/বি (নিজ বাড়ি ৫ম তলা বিল্ডিং), উত্তরা ঢাকা, পেশা আদম ব্যাবসায়ী। সে দুর্দান্ত চতুরবাজ কলহপ্রিয় ও প্রতারক প্রকৃতির লোক বটে। এ বিষয়ে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ অফিসে এসে একান্ত সাক্ষাতকারে গোলাম মোস্তফা জানায় অতিব দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, অনুমান ১০.০৮.২০২৩ইং তারিখে উল্লেখিত আরিফ রহমান (সোহেল) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে তার পোল্যান্ড প্রবাসী ছেলে আজিজ রহমান এর কাবাব ফ্যাক্টরিতে জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করার কথা বলে এবং আমাকে উচ্চ বেতন ও বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখায়। এটা হয়ত বা তার ছল-চাতুরি ছিল যা আমি আগে কোন ভাবেই বুঝতে পারিনি। আমি তার কথায় রাজি হই এবং তরি ঘরি করে আমার স্ত্রীর গহণা বন্ধক রেখে, সুদের উপর ঋণ করে উক্ত ১০.০৯.২০২৪ইং তারিখে আরিফ রহমান (সোহেল) কে তার নিজ বাসায় বসে ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা নগদ ক্যাশ প্রদান করি। যার একটি ডকুমেন্ট সাদা কাগজে লিখিত, এটি আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। উক্ত ২২/০২/২০২৪ইং তারিখে সকাল ১১:০০টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অফিস কক্ষে সমাধানের জন্য বসি সিদ্ধান্ত হয় পরবর্তী ১ মাসের মধ্যে সমস্ত টাকা পরিশোধ করবেন কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তিনি টাকা দিতে ব্যর্থ হন। অতপরঃ সময় চলতে থাকে আমার বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। আরিফ সাহেব তারিখের পর তারিখ দিয়া আমাকে হয়রানি করতে থাকে। এমতাবস্থায় টাকা ফেরত চাইলে সে আজ কাল পরশু দেই দিচ্ছি ইত্যাদি তাল বাহানা করে আমাকে নাজেহাল করতে থাকে। একদিকে বিদেশ যেতে না পারা অপরদিকে সুদের টাকা, ঋণের টাকার চাপে জীবন আর চলেনা। উপায় না পেয়ে আমি উত্তরা পশ্চিম থানায় উক্ত বিষয়ে একটি জিডি এন্ট্রি করি (জিডি নং ২৫, তারিখ ০১/০৫/২০২৪) অতঃপর সে কিছুটা নমনীয় হলে মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে বিগত ১৬/০৫/২০১৪ তারিখে তার সাথে একটি সমঝোতা হয় এবং এই মর্মে একটি ডিড সম্পাদিত হয়। যাতে এক মাসের মধ্যে আমার সর্ব সাকুল্য টাকা ফেরত দেওয়ার উল্লেখ থাকলেও অদ্যাবধি সে আমাকে কোন টাকা ফেরত দেয় নাই। টাকা চাইলে সে আগের মতই তারিখের পর তারিখ দিয়ে আমাকে অহেতুক হয়রানী করে চলছে। এদিকে পাওনাদারের চাপে ও সাংসারিক অভাব অনটনে অর্ধাহারে অনাহারে (আমার স্ত্রী পিএলআইডি রোগে আক্রান্ত), বিনা চিকিৎসায় মানবেতন জীবন চলছে আমার। উক্ত টাকা ছাড়া আমার আর কোন অবলম্বন নাই।