(এলাকার ভূমিদস্যুদের জমিটুকুর উপর কু-নজর পরায় জমিটুকু দখল করার জন্য ওসমান খান, তার দুই ছেলে ইউসুফ খান ও এনায়েত খানসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন ভুমিদস্যু রাতের আঁধারে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। ভূমিদস্যুরা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অর্থের দাপটে তাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানি করে আসছে।)
মনির হোসেন তালুকদার :
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় আতঙ্কের অপর নাম ইউসুফ খাঁ গং। কে এই ইউসুফ খাঁ? তার রয়েছে সন্ত্রাসী কয়েকটি ছেলে, যারা ৫ আগস্ট ছাত্র গণহত্যার সাথে ছিল সরাসরি জড়িত। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভান্ডারিয়া উপজেলা শহরে এবং পিরোজপুর শহরে দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি দিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করতে তাদের ভূমিকা ছিল বিশাল। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ পদবীতে ছিল তাদের নাম। এদের সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান করলে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ৩০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেওয়া আব্দুল গনি ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের নামে, সেই জায়গা জোর করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে ইউসুফ খাঁ গং।
আব্দুল গনি খান পিতা-মৃত জিন্নাত আলী খান, সুফিয়া বেগম, পিতা-মোখলেছ হাওলাদার, উভয় সাং-শিয়ালকাঠী পোষ্ট-উত্তর শিয়ালকাঠী, থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা পিরোজপুর। ভূমিহীনদের খাস জমি ও বসতবাড়ী বন্দোবস্তের কবুলিয়ত এর বন্দেবস্ত মামলা নম্বর-০৪ (তা:) ২০১০/১১ এর আলোকে দলিল নং-১০২৬/১২ তাং ৩০/০৮/১২ইং দুইজনকে ৩০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও সরজমিনে বুঝিয়া না দেওয়ার কারণে ভোগ দখল করতে পারছে না। অতীব গরীব ও অসহায় পরিবার সরকারের দেওয়া এই বন্দোবস্তকৃত ৩০ শতাংশ জমি ছাড়া মাথা গোজার কোন স্থান নেই।
ভুক্তভোগির পরিবারটি বিগত দিনে সরকারী সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে বিচার দিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দীর্ঘ নয় বছর পূর্বে আব্দুল গনি খান ও সুফিয়া বেগম দুইজনের নামে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্ধকৃত জমি ভান্ডারিয়া থানার অন্তর্গত ১ নং ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠী মৌজায়। ৩০ শতাংশ জমি পায় এবং সরকারি সার্ভেয়ারের পরিমাপ করে পিলার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুঝিয়া পাওয়ার আশাবাদী। এলাকার ভূমিদস্যুদের জমিটুকুর উপর কু-নজর পরায় জমিটুকু দখল করার জন্য ওসমান খান, তার দুই ছেলে ইউসুফ খান ও এনায়েত খানসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন ভুমিদস্যু রাতের আঁধারে তাদেরকে ভয় ভীতি দেখায় যাতে করে, জমিতে ঘর তৈরি করতে না পারে। ভূমিদস্যুরা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অর্থের দাপটে তাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। তারা কয়েকবার একখানা বসতঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করলেও ভূমিদস্যুরা ঐ জমিতে তাদেরকে যেতে দেয়নি। তারা জবরদখল করে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আব্দুল গনি খান ও তার পরিবারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। মাননীয় উপদেষ্টা পরিষদে দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা রয়েছেন তাদের মাধ্যমে যাহাতে এই ভুমিদস্যুদের কবল থেকে জমিটুকু উদ্ধার করে একজন অসহায় মানুষ হিসেবে একখানা বসতঘর নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে শেষ সময়টুকু কাটাতে পারি তাহার সু-ব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় উপদেষ্টা পরিষদের কাছে জোর অনুরোধ রইল।