গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ৮নং ওয়ার্ডের দেউলিয়া বাড়ি দক্ষিণ ঈদগাহ মাঠের পাশে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। শুক্রবার বিকেলে এলাকায় খেলা করতে গিয়ে কয়েকজন শিশু হঠাৎই দেখতে পায় একটি কাটুনের ভেতরে কিছু মোড়ানো রয়েছে। কৌতূহলবশত তারা কাছে গিয়ে খুলে দেখলে, ভেতরে রয়েছে এক নবজাতক শিশুর লাশ। বাচ্চারা ভয়ে চিৎকার করলে এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবজাতকটির বয়স আনুমানিক এক দিন। এখনো তার শরীরে জন্মের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। শিশুটিকে এভাবে ফেলে রাখা দৃশ্য দেখে পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্থানীয়রা বলেন, “সন্তান হয়তো অবৈধ ছিল, কিন্তু একবার দুনিয়ায় নিয়ে আসার পর এমন নিষ্ঠুরভাবে তাকে ফেলে যাওয়া কোনো মা কিভাবে পারে!” কেউ কেউ চোখের পানি লুকাতে পারেননি।
দক্ষিণ দেউলা পাড়ার মানবিক এলাকাবাসী কেউ এক মুহূর্ত দেরি না করে নিজেরাই উদ্যোগ নেন শিশুটির শেষকৃত্যের দায়িত্ব নিতে। তারা ইসলামী নিয়মে নবজাতকটিকে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে নামাজে জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা করেন। উপস্থিত সবাই গভীর বেদনায় নবজাতকটির জানাজায় অংশ নেন।
একজন স্থানীয় মুরুব্বি বলেন, “আমরা জানি না সে কার সন্তান, কিন্তু সে তো আল্লাহর এক সৃষ্টি। তাকে এভাবে ফেলে যাওয়া অন্যায়। এই শিশুটির জন্য আমাদের হৃদয় কাঁদে।” এলাকাবাসীর অনেকেই এমন নিষ্ঠুর ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে যেন আর কোনো মা এমন পাপ কাজ না করেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মানবতার প্রতি এক গভীর প্রশ্ন রেখে গেছে — এক দিনের নবজাতক, যার পৃথিবী দেখা শুরুও হয়নি, তাকে এই নিষ্ঠুরভাবে ফেলে দেওয়া কতটা অমানবিক! এলাকাবাসীর চোখের জল আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাসেই শেষ হলো সেই অজানা নবজাতকের জীবনগাঁথা
| | প্রকাশক ও সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন, ||