ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রিয় নেতা তুহিনের অপেক্ষায় এলাকাবাসী

নবিজুল ইসলাম নবীন-নীলফামারী :
নভেম্বর ২১, ২০২৪ ৫:০৮ অপরাহ্ণ । ২৪ জন
Link Copied!

নবিজুল ইসলাম নবীন-নীলফামারী :

সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রিয় নেতা প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জন্য অপেক্ষা করছেন নীলফামারীবাসী।
বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা নীলফামারী-০১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের মানুষরা এখন অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
ইতোমধ্যে তার নামে দায়ের করা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নীলফামারীসহ ডোমারও ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। সরকার প্রধানের কাছে আহবান জানিয়েছেন মামলা তুলে নিতে।
দলীয় নেতা কর্মীরা বলছেন, প্রিয় নেতা তুহিন ভাই’র উপর নির্ভর করছে জেলার সবকিছু কারণ তার হাত ধরেই পরিবর্তন ঘটবে রাজনীতি ও উন্নয়নের চাকা। তিনি করেন মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অষ্টম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য না হয়েও ডোমার-ডিমলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন, নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণসহ ব্যাপক কর্মকান্ড সম্পাদন করেন তিনি।
ডিমলা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আশিকুল ইসলাম লেমন বলেন, তৃণমুলে দলকে শক্তিশালী করেছেন তুহিন ভাই। তিস্তা নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ, গে্রাঁয়েন নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করেছেন। তিনি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন পক্ষ্য পাতিত্ব করেন নি।

ডিমলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, তুহিন ভাই একজন সাদা মনের মানুষ। বিএনপিকে তিনি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৯৫সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১সালে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি কিন্তু তার উন্নয়ন থেমে থাকে নি।
তিনি যা উন্নয়ন করেছেন আওয়ামীলীগের ১৫বছরের সাথে মুল্যায়ন করলে অনেক বেশি। চরাঞ্চলের মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, অসংখ্য কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে তুহিনের কারণে। বিএনপির সময়ে যেভাবে উন্নয়নের গতি ছিলো আওয়ামীলীগের সময়ে সেটি আর এগুয়নি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন গণমানুষের নেতা প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করতেই তুহিনের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করে আওয়ামীলীগ সরকার। তার জনপ্রিয়তায় ধ্বংস নামানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এই উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা। নানা হয়রানী নির্যাতন করেও জনপ্রিয়তা ঠেকাতে পারেনি তার বরং জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে কয়েকগুন।তিনি বলেন, তার শুণ্যতার অভাব সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে।

ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, তুহিন ভাই এই এলাকার জন্য আর্শিবাদ। তিনি আমাদের পাশে থাকলে উন্নয়নের কমতি হবে না, ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে ডোমার-ডিমলায়। শুধু তার নির্বাচনী এলাকায় নয় পরিবর্তন ঘটবে নীলফামারী জেলায়।
বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের ১৫বছরে যে বৈষম্য করা হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তুহিন ভাই এরকম বৈষম্য করবে না।
নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুহৃদ হোসেন বলেন, বিএনপিকে শেষ করার জন্য কি কি করা যায় শেখ হাসিনা সবই করেছেন। এখন শেখ হাসিনায় শেষ হয়ে গেছে। দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
নীলফামারী জেলার অবিভাবক প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। তার জন্য অপেক্ষা করছেন এই এলাকার মানুষ। তার উপরই নির্ভর করছে এই এলাকার রাজনীতি ও উন্নয়ন।

বিএনপি নেতা কর্মীরা বলছেন, শত শত মিথ্যে মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের হয়রানী করেছে আওয়ামীলীগ। নেতারা জেল খেটেছে। রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। পালিয়ে থেকেছেন। এই সবের মাঝেও বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী অবস্থানে। মানুষের আস্থা এই বিএনপির উপরেই।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, তুহিন ভাইয়ের নির্দেশনায় নীলফামারী জেলায় বিএনপি সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। রাজনৈতিক ভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে বিএনপির। এটি তারই অবদান। দমন পীড়নের পরও মাথা উঁচু করে আজ বিএনপি চলতে পারছে। নির্বিঘেœ রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারছে।
আমরা আশা করছি দ্রুত তুহিন ভাই বীরের বেশে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং আমাদের অবিভাবক হিসেবে আবারো কাজ শুরু করবেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার বলেন, মিথ্যে মামলা দিয়ে তুহিন ভাইকে দেশছাড়া করেছে শেখ হাসিনা। অথচ শেখ হাসিনাই আজ দেশছাড়া। তুহিনের দ্বারাই এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন সম্ভব।
বলেন, তুহিন ভাই একজন যোগ্য নেতা। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো যেভাবে উন্নয়ন হয় সে তুলনায় উত্তরের জেলাগুলো পিছিয়ে থাকে। আগামী নির্বাচনে তুহিন ভাই এমপি নির্বাচিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর মত বরাদ্দ নিয়ে আসতে পারবেন।
আলমগীর সরকার বলেন, প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহবান জানিয়েছি মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য।
তিনি (তুহিন) দুটি জনসভায় ভার্চুয়ালী যুক্ত থেকে তার আকাঙ্খার কথা জানিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরলে আমরা সেগুলোর প্রতিফলন দেখবো।
এখন বিএনপিসহ এই এলাকার মানুষ অপেক্ষা করছে তুহিনের জন্য।

You cannot copy content of this page