ঢাকামঙ্গলবার , ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদকের উপদেষ্টাদের প্রতি দাবি সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ঈ’মান ফিরিয়ে আনতে হবে

প্রাণের বাংলাদেশ ডেস্ক :
নভেম্বর ১২, ২০২৪ ১২:৫২ অপরাহ্ণ । ৮৩ জন
Link Copied!

প্রাণের বাংলাদেশ ডেস্ক :

সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ঈমান’ ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে ‘সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় ঐকমত্য’ এবং উপদেষ্টাদের কার্যক্রম শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ছাত্র জনতার আন্দোলন এবং পরবর্তী বিজয়কে সম্পূর্ণ মহান আল্লাহর রহমত বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যারা উপদেষ্টা মন্ডলীতে আছেন, তাদেরকে আরও সক্রিয়তার সাথে দ্রুত সকল অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাছাড়া অধিকতর অভিজ্ঞ এবং সৎ মানুষকে দায়িত্ব দিয়ে দেশ গড়ার এই প্লাটফর্মে সংস্কারের নামে সবকিছুকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।

বাংলাদেশে যে যখন ক্ষমতায় আসে সে কোন ভাবেই সাংবিধানিক নিয়মে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয় না। শুরু করে সংবিধান এ্যামেন্ডমেন্ট। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী গোষ্ঠী ঠিক সেভাবেই নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে, নিজেদেরে মত করে সংবিধানকে সাজিয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘এই সংবিধান একটি পরিবারের পক্ষের দলিল। এই সংবিধান শুধুমাত্র একটি পরিবারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই সংবিধানে বলা হয়েছে— এই সংবিধান অপরিবর্তনীয়। এই সংবিধানে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। তার মানে বাংলাদেশে তার (শেখ হাসিনা) পিতা শেখ মুজিব যেমন ৭২ সালে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, তেমনই তার কন্যাও এই সংবিধান অনুযায়ী অঘোষিত বাকশাল কায়েম করেছিলেন।’

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এখন যে অংশ আছে (সংবিধানের), বলা হয়েছে সংবিধানের একটি বিরাট অংশ অপরিবর্তনীয়। জিয়াউর রহমান যে সংবিধান করেছিলেন পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে। সেখানে ছিল আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ঈমান। এটা ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। আমার ৯০ ভাগ মানুষের যে সংস্কৃতি, যে ধর্মীয় বিশ্বাস তার প্রতিফলন যদি সংবিধানে না থাকে তাহলে এটা কিসের সংবিধান? আপনি তো সংখ্যাঘরিষ্ঠের জন্য করছেন, সংখ্যাঘরিষ্ঠ মানে ৯০ শতাংশ সংখ্যাঘরিষ্ঠ। তো আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ঈমান- এটা যদি আমার সংবিধানে না থাকে, তাহলে এই সংবিধান তো আমার না। মুসলমানদের তো এই সংবিধান হতে পারে না। তাহলে ওটা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যেদিন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন সেই দিনই সংবিধান নষ্ট হয়ে গেছে। একজন রাষ্ট্রপতি যখন বলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন, আবার পরবর্তীকালে তিনি বলেন, পদত্যাগপত্র তার কাছে নেই বা তিনি পাননি। যিনি এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারেন, তাহলে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। ওই চেয়ারে তার থাকার আর কোনো বৈধতা নেই।

আমার প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদক বলেন, ‘এই সংবিধানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্সিয়াল করা হয়েছিল আবার হয়ে গেলো পার্লামেন্টারি সংবিধান, যা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ভয়ানক ফ্যাসিস্ট সরকার গঠন করে দীর্ঘদিন বাংলাদেশে রাজত্ব কায়েম করেছেন। বাংলাদেশে এখন প্রেসিডেন্সিয়াল সরকারে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে হবে, এটি রাজনৈতিক দলে নেতারা মানবেন কি না সেটা জানি না।’

হিউম্যান রাইটস্ অর্গানাইজেশনের পরিচালক জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন উত্তরা পশ্চিম থানার যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মিলন, খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের সভাপতি মাছুম কাজী এবং খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি এড. দেবাশীষ রায়, উত্তরা পশ্চিম থানার যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু ও আরও বক্তব্য রাখেন উত্তরা মডেল একাডেমির পরিচালক মনির হোসেন শিশির সহ অনেক গুণিজন ব্যক্তিত্বরা।

You cannot copy content of this page